নিনটেনডো উয়ি ইউগেইমিং জায়ান্ট নিনটেনডো নতুন একটি কনসোল বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৬ সালে উয়ি গেইমিং কনসোল আনার প্রায় পাঁচ বছর পর নতুন গেইমিং কনসোল আনার ঘোষণা দিলো নিনটেনডো। ২০১২ সালে উয়ি কনসোলটিরই ফলোআপ কনসোল আনছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘উয়ি ইউ’ নামের এই গেইমিং কনসোলটি বিষয়ে নিনটেনডো থেকে বলা হচ্ছে, এটি হবে পরবর্তী প্রজন্মের গেইমিং কনসোল। উয়ি ইউ কনসোলটি ব্যবহার করে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও দেখা, ওয়েব ব্রাউজসহ ভিডিও কলও করা যাবে। অনেক দিন ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বে নিনটেনডোর উয়ি সংস্করণের আসন্ন একটি কনসোল বিষয়ে গুঞ্জণ ছিল। সম্প্রতি লস এঞ্জেলসের ই৩ গেইম শো উপলক্ষে এই গেইমিং কনসোলটির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে নিনটেনডো। উয়ি ২ কনসোলটিতে থাকবে ৬.২ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন এবং ক্যামেরা সুবিধা। এ ছাড়াও উয়ির প্রথম সংস্করণের মতো উয়ি ইউ-তে থাকবে সেট টপ বক্স। এ কনসোলটি এক্সবক্স ৩৬০ এবং প্লেস্টেশন ৩ কনসোলের মতোই গ্রাফিক্স সুবিধা দেবে। এইচডি সুবিধার এই গেইমিং কনসোলটির দামও হবে কম। গুজব রটেছে, বাজারে থাকা অন্যান্য গেইমিং কনসোলগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নতুন কনসোলের দাম মাত্রই ১৫০ ডলার রাখতে পারে জাপানি এ গেইম মেকার প্রতিষ্ঠানটি।
আইসক্রিম স্যান্ডউইচ ডিভাইসগুলোগুগলের অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ অপারেটিং সিস্টেমের কোড নাম আইসক্রিম স্যান্ডউইচ। সদ্যই বাজারে আসা এ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর বেশকিছু পণ্য ২০১১ সালে বাজারে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্যামসাং-এর গ্যালাক্সি নেক্সাস। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ নামের অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণের বৈশিষ্ট্য হলো, এটি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারের প্রোগ্রামগুলোকে সমন্বয় করছে। বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে সফটওয়্যার উন্নয়নকারীদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে নতুন এই প্লাটফর্মটি। এ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর অনেক ডিভাইস-এর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। স্যামসাং, এইচটিসি, মটরোলা, আসুসসহ স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটনির্মাতা অনেক প্রতিষ্ঠানকেই আইসক্রিম স্যান্ডউইচনির্ভর ডিভাইস তৈরি করতে দেখা যাবে আগামী বছর। আইসক্রিম স্যান্ডউইচে বেশ কিছু নতুন অ্যাপ্লিকেশনও যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রোবোটো টাইপফেস। অপারেটিং সিস্টেমটির নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যও আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত বলেই দাবী করা হচ্ছে। এতে ‘ফেস আনলক’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন আছে। আগামী বছর তাই স্বাভাবিক কারণেই আইসক্রিম স্যান্ডউইচচালিত ডিভাইস চোখে পড়বে সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যেই ২০১১ অ্যান্ড্রয়েড বাজার দখল করেছে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি। আগামী বছর তা আরো বাড়বে বলেই গুগল আশা করছে।
আইপ্যাড মিনিটেক জায়ান্ট অ্যাপল আইপ্যাডের একটি ছোটো সংস্করণ আনছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই গুজব চালু রয়েছে। গুজব রয়েছে, অ্যাপল ৭ ইঞ্চি বা ৭.৮৫ ইঞ্চি আইপ্যাড মিনি তৈরি করবে, আর এই ডিভাইসটি বাজারে চলে আসবে আগামী বছরই। বলা হচ্ছে, অনলাইন রিটেইলার জায়ান্ট অ্যামাজনের তৈরি ‘কিন্ডল ফায়ার’ ট্যাবলেটটির সঙ্গে বাজার দখলের প্রতিযোগিতায় নামতেই ‘আইপ্যাড মিনি’ তৈরি করছে অ্যাপল। এ ডিভাইসটির নাম আইপ্যাড মিনি বা আইপ্যাড এইচডি রাখতে পারে অ্যাপল। এ ডিভাইসটিতে ‘বড়ো’ আইপ্যাডের সব প্রযুক্তিই থাকবে। ২০১০ সালে দায়িত্বে থাকা অ্যাপলের সিইও স্টিভ জবস ‘আইপ্যাড মিনি’ বা ৭ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের গুজব উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ট্যাবলেট স্ক্রিনের মাপ কমপক্ষে ১০ ইঞ্চি হওয়া উচিত। আর তা না হলে অ্যাপ্লিকেশন মানানসই হবে না। এ ছাড়াও টাচস্ক্রিনের কতোটা কাছে থেকে কনটেন্ট দেখা হবে তারও একাট সীমা থাকা প্রয়োজন। নতুন সংস্করণটি দামের দিক থেকেও নাকি হবে ‘মিনি’। ২০০ ডলারের মধ্যেই পাওয়া যাবে এ ট্যাবলেট। ২০১২ সালের শেষদিকে এ ট্যাবলেটটি বাজারে আনতে পারে অ্যাপল। অবশ্য, ২০১২ সালে ফেব্রæয়ারিতে আইফোন ৫ এবং আইপ্যাডের নতুন সংস্করণ আসতে পারে বলেই প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
আলট্রাবুকপ্রযুক্তিবিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১২ সাল হবে আলট্রাবুকের। কারণ, মানুষের রুচির সঙ্গে মানিয়ে যাবে হালকা-পাতলা আলট্রাবুক। ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছরই আলট্রাবুক তৈরির কাজ শুরু করেছে। নেটবুক এবং ভারী ল্যাপটপ তৈরি বন্ধ করে আলট্রাবুক তৈরিতে আগামী বছরও লেগে থাকবে অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সবার আগে আছে ইনটেল। এরপর রয়েছে ডেল, এইচপি অ্যাপলসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই। এদিকে, আলট্রাবুকের দামও কমছে তাই আগামী বছর হবে উন্নত আলট্রাবুকের বছর। ২০১২ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আলট্রাবুকের ঘোষণা দেবে।
পরবর্তী প্রজন্মের ম্যাকবুক এয়ারটেক জায়ান্ট অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো এবং ম্যাকবুক এয়ার-এর নতুন সংস্করণ তৈরি করছে বলেই খবর রটেছে। বিভিন্ন প্রযুক্তিসাইটের বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, যারা অ্যাপল ল্যাপটপ কেনার চিন্তা করছেন তারা একটু রয়ে সয়ে কিনলেই আনকোরা কনফিগারেশনের ম্যাকবুক প্রো বা এয়ার-এর মডেল কিনতে পারবেন। জানা গেছে, নতুন মাপের ১৩ ইঞ্চি, ১৫ ইঞ্চি এবং ১৭ ইঞ্চি স্ক্রিনের তিনটি ডিভাইস বাজারে আনছে অ্যাপল। নতুন ডিভাইসগুলোয় নকশায় কোনো পরিবর্তন না থাকলেও প্রসেসর হিসেবে যোগ হচ্ছে ইনটেলের স্যান্ডিব্রিজ। এছাড়াও আইভিব্রিজ প্রসেসরযুক্ত ম্যাকবুক প্রো তৈরি করছে অ্যাপল। সে ডিভাইসগুলোও আসবে আগামী বছরই। নতুন ডিভাইসটি ম্যাকবুক এয়ারের মতোই পাতলা হবে, তবে এর পর্দার মাপ হবে এয়ারের চেয়ে বড়। নতুন মডেলের ডিভাইসগুলো হতে পারে ১৫ ইঞ্চি এবং ১৭ ইঞ্চি মাপের। নতুন ডিভাইসগুলোতে স্যান্ডিব্রিজ প্রসেসরের বদলে উন্নত আইভিব্রিজ প্রসেসর ব্যবহৃত হতে পারে। বর্তমানে বাজারে থাকা অ্যাপলের ম্যাকবুক সিরিজে পাতলা ম্যাকবুক এয়ারের সর্বোচ্চ মাপ ১৩ ইঞ্চি। কিন্তু জাপানী প্রযুক্তিসাইট ম্যাকোতাকারা’র তথ্য মতে, অ্যাপল এবারে পাতলা মডেলের ডিভাইসগুলোর মাপ আরো বড়ো করছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা নোটবুক এখন অ্যপলের ম্যাকবুক এয়ার।
কিন্ডল ফায়ার ২চলতি বছর মাত্র ৭ ইঞ্চি মাপের একটি ট্যাবলেট বাজারে ছাড়ে অ্যামাজন। কিন্ডল ফায়ার নামের এ ট্যাবলেটটি বাজারে মাত করতে খুব কম সময়ই নিয়েছে। আগামী বছরই এই অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেটের নতুন সংস্করণের আনছে বলেই খবর রটেছে। নতুন সংস্করণের এ ডিভাইসটির পর্দাম মাপ হবে ৮.৯ ইঞ্চি। বাজারে ৮.৯ ইঞ্চির ট্যাবলেট হিসেবে এটিই হবে প্রথম। এ ছাড়াও ১০ ইঞ্চি কিন্ডল ফায়ার-এর একটি মডেল আনতে পারে এমন খবরও রটেছে। প্রথমে ৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে অ্যামাজন ১০.১ ইঞ্চি মাপের নতুন ট্যাবলেট আনতে পারে বলে গুজব ছিলো। কিন্তু ট্যাবলেট বিপননকারীরা নাকি বাজারে থাকা ৯.৭ এবং ১০.১ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটের আধিক্য থাকায় নতুন সংস্করণের মাপে ভিন্নতা চেয়েছে। তাই, অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ারের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ৮.৯ ইঞ্চি মাপের ট্যাবলেটই তৈরি করবে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ এ ডিভাইসটি বাজারে আসতে পারে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছে অ্যামাজনের ৭ ইঞ্চি মাপের কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট। মাত্র ১৯৯ ডলারের এ ট্যাবলেটি বিক্রিতে অ্যামজন লসও গুনছে। কিন্তু জনপ্রিয়তার কারণে এবার স্মার্টফোন বাজারেও অ্যামাজনের পা পড়ছে বলেই খবর রটেছে। ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোন দুক্ষেত্রেই এবছর অ্যামাজনকে চাঙ্গা দেখা দিতে পারে।
আইফোন ৫২০১১ সালে প্রযুক্তিবিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত সম্ভাব্য স্মার্টফোন আইফোন ৫। এ ফোনটি ঘিরে গুজবের ছড়াছড়ি ছিলো সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরই এ ফোনটি বাজারে আসছে বলে ধারণা করেছিলেন প্রযুক্তিবিশ্লেষকরা। কিন্তু অ্যাপল গুজবে জল ঢেলে আইফোন ৫ না এনে আইফোন ৪ এস সংস্করণটি বাজারে ছাড়ে। কিন্ত গুজব এখানেই থেমে যায়নি। গুজবে প্রকাশ, আইফোন ৫ তৈরি করেছিলো অ্যাপল কিন্তু সিইও স্টিভ জবস-এর তা পছন্দ না হওয়ায় তিনি আইফোন ৫ বাজারে আনতে নিষেধ করেন। এরপরই আনা হয় আইফোন ৪এস। ৫ অক্টোবর স্টিভ জবস মারা যাবার পর নতুন আইফোন নিয়ে কাজ শুরু করেছে অ্যাপল এমন খবর চাউর হয়েছে। আইফোন ৫ আসলে দেখতে কেমন হবে তার বিভিন্ন কাল্পনিক মডেল ঘুরছে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে। তবে, অ্যাপল মুখ না খুললেও প্রযুক্তিবিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে প্রতিদ্বন্দিতা বেড়ে যাওয়ায় আগামী বছরই আইফোন ৫ বাজারে আনবে অ্যাপল।
অ্যাপল আইটিভিঅ্যাপলের প্রয়াত সিইও স্টিভ জবস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অ্যাপল আইটিভি নামের একটি টিভি তৈরি করছে। আগামী বছর অ্যাপল-এর আইটিভির দেখা মিলতে পারে। টেক জায়ান্ট অ্যাপল ‘আইটিভি’ নামে নতুন টেলিভিশন তৈরি করছে বলে তথ্যও দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এক প্রযুক্তি বিশ্লেষক। নতুন এ টেলিভিশনে এক্সবক্স গেইমিং কনসোলের মতো জেশ্চার বা অঙ্গভঙ্গি বুঝতে পারার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। জেশ্চার প্রযুক্তিটি পরিচালক এবং নির্মাতা স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘মাইনোরিটি রিপোর্ট’ ছবিতে দেখানো হয়েছিলো। পরে কাইনেক্ট ডিভাইসে এমন প্রযুক্তি আনে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমেও এমন প্রযুক্তি আনার কথা মাইক্রোসফট ভাবছে বলে বাজারে গুজব রয়েছে। তবে, প্রযুক্তিবিশ্লেষকের দাবী, অ্যাপল কর্তৃপক্ষ টিভিতে যে প্রযুক্তি আনছে তার ব্যবহার গেইমিং কনসোলের চেয়েও বেশি হবে। আইটিভিতে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে টিভির সামনে কোনো দর্শক মন্তব্য বা অঙ্গভঙ্গি করলে টিভি সেটা বুঝতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিশ্লেষক পিটার মিসেক জানিয়েছেন, নতুন প্রযুক্তির এমন টিভি তৈরির পরিকল্পনা করে গেছেন অ্যাপলের প্রয়াত সিইও স্টিভ জবস। তার বায়োগ্রাফিতেও এমন ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন তিনি। ’ জায়ান্ট অ্যাপল ‘আইটিভি’ নামের টেলিভিশন আনতে পারে আর তাতে নতুন অনেক ফিচারের সঙ্গে হার্ডওয়্যার হিসেবে যোগ হতে পারে আইস্ক্রিনও। এ টিভিতে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি বাঁকানো স্ক্রিন থাকতেও পারে বলে প্রযুক্তিবিদরা ধারণা করছেন। অবশ্য, অ্যাপল কর্তৃপক্ষ টিভি স্ক্রিন বিষয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে।
আইপ্যাড ৩সম্প্রতি গুজব রটেছে, টেক জায়ান্ট অ্যাপলের তৈরি আইপ্যাডের তৃতীয় সংস্করণ তৈরির কাজ শেষ করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি, এখন কেবল বাজারে ছাড়তেই যা দেরি। খবর রটেছিলো, ২০১১ সালে আইফোন ৫ এবং আইপ্যাড ৩ একসঙ্গে বাজারে এনে চমকে দেবে অ্যাপল। কিন্তু অ্যাপল সিইও স্টিভ জবস মারা যাবার আগে কেবল আইফোন ৪ এস ডিভাইসটির ঘোষণা দেয় তারা। এদিকে আইপ্যাড ঘিরে রহস্য থেকেই যায়। এখন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী বছর এ ডিভাইসটি বাজারে আনবে অ্যাপল। জানা গেছে, ডিভাইসটির নাম আইপ্যাড এইচডিও রাখতে পারে অ্যাপল। আইপ্যাড ঘিরে অনেক গুজব চাউর হলেও একটা গুজবের সঙ্গে সবগুলোর মিল রয়েছে; আর তা হচ্ছে- রেটিনা ডিসপ্লে। এ ছাড়াও অ্যাপলের এ ডিভাইসটিতে যোগ হতে পারে গ্লেয়ার প্রটেক্টর, হ্যাপটিক ফিডব্যাক, বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি এবং তার ছাড়াই চার্জ দেবার মতো ফিচারগুলো। বর্তমানে বাজারে থাকা আইপ্যাডের দ্বিতীয় সংস্করণের চেয়ে আইপ্যাড ৩ বেশ হালকা-পাতলা হবে বলেই জানা গেছে। উল্লেখ্য, আইপ্যাড প্রথম বাজারে আসে ২০১০ সালের এপ্রিলে। তারপর আইপ্যাডের দ্বিতীয় সংস্করণ আইপ্যাড ২ বাজারে আসে ২০১১ সালের মার্চ মাসে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন আইপ্যাড আগামী বছরের ২০১২ ফেব্রæয়ারি মাসে বাজারে আসবে। অ্যাপল এই মুহূর্তে সারাবিশ্বের ৬৫% ট্যাবলেট বাজার দখল করে আছে।
প্লেস্টেশন ভিটাজাপানের রাজধানী টোকিও শহরে গত ১৭ ডিসেম্বর নতুন প্লেস্টেশন ভিটা বাজারে এনেছে সনি। খবর রটেছে, আগামী বছর প্লেস্টেশন ভিটার নতুন সংস্করণটি আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়বে তারা। নতুন সংস্করণের এই গেইমিং ডিভাইসটিতে থাকবে ডুয়াল এনালগ স্টিক, টাচ স্ক্রিন। সম্প্রতি জাপানের বাজারে আসা নতুন প্লেস্টেশনে রয়েছে ৫ ইঞ্চি মাপের পর্দা (১২ সেন্টিমিটার), এলইডি টাচস্ক্রিন, দুটি ক্যামেরা এবং জিপিএস রিসিভার ছাড়াও ওয়াইফাই এবং থ্রিজি সুবিধা। নতুন এ ডিভাইসটিতে ২০টি গেইম পাওয়া যাবে একেবারেই বিনামূল্যে। কেবল জাপানের বাজারে এ ডিভাইসটি আসায় ইতোমধ্যে বাজারে বেশ আগ্রহ বাড়িয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করলে এটি আরো বাজার দখল করবে বলেই বাজার বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
৪ জি ফোনবাজারে আসবে বিভিন্ন মডেলের ফোরজি ফোন এবং ফোরজি সার্ভিস। বিভিন্ন টেলিকেম সার্ভিস তাদের গ্রাহকদের জন্য ফোরজি সুবিধার স্মার্টফোন তৈরি করবে। ফোরজি স্মার্টফোন তৈরি করতে এইচটিসি, স্যামসাং, অ্যাপল, মটেরোলাসহ অনেকেই এগিয়ে আসবে আগামী বছরই।
নুক ট্যাবলেট ২বার্নস এন্ড নোবল তাদের নুক ট্যাবলেট-এর দ্বিতীয় সংস্করণ আগামী বছর বাজারে আনতে পারে। ২০১১ সালে রঙিন নুক ট্যাবলেট পিসি বাজারে ২৪৯ ডলার মূল্যমানের এই ট্যাবলেটটিতে রয়েছে ৭-ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১ গিগাহার্টজ ডুয়াল-কোর প্রসেসর, ১ জিবি র্যাম এবং ১৬জিবি স্টোরেজ। নুক ট্যাবলেটের দ্বিতীয় সংস্করণে আরো উন্নত ফিচার যোগ করছে বার্নস এন্ড নোবেল।
নিকন ডি ৮০০৯-১২ জানুয়ারি লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বের বৃহত্তম কনজিউমার ইলেকট্রনিক ট্রেড শো (সিইএস)-এ আসতে পারে নিকন ডি ৮০০ মডেলের ক্যামেরা। ২০০৮ সাল থেকে বাজারে রয়েছে নিকন এসএলআর ক্যামেরা ডি৭০০। এ মডেলটির পরবর্তী সংস্করণই আগামী বছর বাজারে আসতে পারে। এ মডেলের ক্যামেরা হবে নিকনের সবচেয়ে বেশি রেজুলিউশনের ক্যামেরা। ছোট আকারের এ ক্যামেরায় ৩৬ মেগাপিক্সেলে ছবি তোলা যাবে। এতে থাকবে উন্নত অটোফোকাস এবং ফেস ডিটেকশন ব্যবস্থা । থ্রিডি ভিডিও করা যাবে এ ক্যামেরায়। এ ক্যামেরার দাম হতে পারে ৩ হাজার ডলার এর মত।
ক্যানন ৫ডি মার্ক ৩নিকন ডি ৮০০ মডেলের মতো ক্যাননের ফুল-ফ্রেম ফলো-আপ ইওএস ৫ডি মার্ক ৩ বাজারে আসবে আগামী বছরই। ২০১১ সালেই ক্যানন ৫ডি মার্ক ৩ সংস্করণটি বাজারে আসার খবর রটেছিলো। কিন্তু জাপানের ভূমিকম্প এবং সুনামির পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বন্যা পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় ক্যামেরায় নতুন সংস্করণটি ছাড়েনি ক্যানন। নতুন সংস্করণের ৫ডি মার্ক ৩-এর দাম আড়াই হাজার ডলারের বেশি হতে পারে।
উইন্ডোজ ৮
উইন্ডোজ ৮কে বলা হচ্ছে মাইক্রোসফটের বাজীর ঘোড়া। টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের তৈরি অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮ ঘিরে প্রযুক্তি বিশ্বে অনেকদিন ধরেই আলোচনা হয়েছে। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ অপারেটিং সিস্টেমের ওপর থেকে পর্দা সরিয়ে নিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিল্ড ডেভেলপারস কনফারেন্সে উইন্ডোজ ৮ বাজারে আনার কথা জানিয়েছেন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বিভাগের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন সিনোফস্কি। কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপ প্ল্যাটফর্মের জন্য ব্যবহৃত হবে এ সংস্করণটি। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা উইন্ডোজ ৮ সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির। এ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বিভাগের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন সিনোফস্কি জানিয়েছেন, ‘আমরা উইন্ডোজকে নতুন করে সাজিয়েছি। উইন্ডোজ ৯৫ সংস্করণের পর অপারেটিং সিস্টেম আপগ্রেডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উইন্ডোজ ৮ কেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ সফটওয়্যারটি কোনো অ্যাপস ছাড়াই নতুন ক্ষমতার। ’
এবারের ‘বিল্ড’ নামে ডেভেলপার্স কনফারেন্সে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ এর বিভিন্ন ফিচার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্টিভেন সিনোফস্কি বলেছেন, ‘অন্যান্য সংস্করণে মাল্টিটাস্কিং সুবিধার কথা বলা হলেও উইন্ডোজ ৮ এ পাওয়া যাবে আসল মাল্টিটাস্কিং-এর মজা। ’ কেবল ট্যাবলেট নয়, এ অপারেটিং সিস্টেম ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের জন্যও। উইন্ডোজ ৮ এ ব্যবহার করা হয়েছে হাইপার- ভি ভার্চুয়ালাইজেশন; যার ফলে উইন্ডোজ ৭ বা তার আগের সংস্করণের জন্য তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলোও এখানে কাজ করবে। এতে থাকবে একটি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর, যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা নানান অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ক্লাউড কম্পিউটিংভিত্তিক এ অপারেটিং সিস্টেমে ডেভেলপারদের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য নানান টুলস দিয়ে দেয়া হয়েছে যা ইতোমধ্যেই ডেভেলপারদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘টেক জায়ান্ট অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেমকে টক্কর দিতেই নতুন করে ভাবতে হয়েছে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষকে। ’
নতুন অনেকগুলো ফিচার রয়েছে উইন্ডোজ ৮-এ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইউজার ইন্টারফেস, টাচ, স্কাইড্রাইভ, অ্যাপস্টোর, এআরএম প্রসেসর, টাস্ক ম্যানেজারসহ বেশ কিছু নতুন ফিচার। এ ছাড়াও উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমে নিরাপত্তা বাড়াতে নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা আনছে মাইক্রোসফট। পাসওয়ার্ড হিসেবে প্রচলিত অক্ষর ছাড়াও টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে ছবি পাসওয়ার্ড ব্যবস্থা আনছে বলে খবর রটেছে। বিশ্বের বৃহত্তম কনজিউমার ইলেকট্রনিক ট্রেড শো (সিইএস) থেকে সরে যাবার ঘোষণা দিয়েছে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৯-১২ জানুয়ারি লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিতব্য সিইএস মেলায় এবারই তারা শেষবারের মতো অংশ নেবে। এ মেলাতেই উইন্ডোজ ৮-এর ঘোষণা দিতে পারে মাইক্রোসফট এমন ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে মাইক্রোসফট বলছে, তারা যখন নিজেদের সুবিধামত সময় আসবে তখন অ্যাপলের মতো নিজেরা পণ্য প্রদর্শনের আয়োজন করে নতুন পণ্য আনার ঘোষণা দেবে। নতুন পণ্য আনার জন্য আর সিইএস মেলাকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নেয়া হবে না। ২০১২ সালে মাইক্রোসফট নিজেরা অনুষ্ঠান করে হয়তো উইন্ডোজ ৮-এর ঘোষণা দেবে বলেই প্রযুক্তিবিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।