17 November 2011

গোপনে সোশাল নেটওয়ার্ক বানাচ্ছে মাইক্রোসফট


টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট তৈরি করছে বলে আগেই গুজব রটেছিলো। এবারে মাইক্রোসফটের গোপন সেই সোশাল সাইটের তথ্য ফাঁস হয়েছে।

মাইক্রোসফটের গোপন এ নতুন প্রকল্পটির নাম ‘সোশাল সার্চ।’ এ সাইটটিতে সার্চ অপশন এবং শেয়ার অপশন থাকছে। এ ছাড়াও জানা গেছে, ফেসবুক এবং গুগলের সঙ্গে মিলিয়েই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার পথে রয়েছে মাইক্রোসফট।

জানা গেছে, এ সাইটটিতে ফেসবুক এবং টুইটার সাইন-ইন বাটনও থাকতে পারে।

মাইক্রোসফটের এ সাইটটির নাম socl.com

মাইক্রোসফটের এ প্রকল্পটির একটি অংশ ভুলবশত মাইক্রোসফটের কাছ থেকে ওয়েবে চলে এসেছিলো বলেই মাইক্রোসফট ব্লগে জানানো হয়েছিলো। পরে দ্রুত এটি সরিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

মাইক্রোসফটের সোশাল এ সাইটটি এখনও ব্যক্তিগত বিটা পর্যায়ে রয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে, এটি আলোর মুখ নাও দেখতে পারে বলে মাইক্রোসফট ব্লগে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে।

গুগলের গোপন ল্যাব 'গুগল এক্স'



‘গুগল এক্স’ নামের গোপন এক পরীক্ষাগারে সার্চ জায়ান্ট গুগল তাদের ভবিষ্যৎ পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করছে। ‘গুগল এক্স’ নামের এ গবেষণাগারের অবস্থান কোথায় তা স্বয়ং গবেষকরাও জানেন না। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর।

গুগলের গোপন এ পরীক্ষাগারেই চলছে নতুন ধরনের পণ্য তৈরির কাজ। নতুন পণ্য তৈরির জন্য ১০০টিরও বেশি আইডিয়া নিয়ে একটি তালিকা তৈরি হয়েছে গুগল ল্যাবে। আর এ আইডিয়াগুলো এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানা গেছে।

গুগল তাদের গোপন গবেষণাগারে কি হচ্ছে সে বিষয়ে এতোটাই গোপনীয়তা বজায় রেখে চলেছে যে, সেখানে যারা কাজ করেন তারা নিজেরাও জানেন না তাদের অবস্থান কোথায়।

গুগলের লিস্টে থাকা পণ্যগুলোর বেশকিছু আগামী বছরেই বাজারে আসতে পারে বলেও খবর রটেছে।

গুগলের গোপন গবেষণাগার বিষয়ে এমআইটি-এর বিশেষজ্ঞ রডনি ব্রুকস জানিয়েছেন, ‘গুগল সাধারণ কোনো কোম্পানি নয়, তাই এখনো কোনো কিছু প্রয়োগ করেনি।’

গুগল কর্তৃপক্ষ ‘গুগল এক্স’ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও গুগল সিইও ল্যারি পেজ যে ‘গুগল এক্স’-এ দীর্ঘসময় ধরে কাজ করছেন সে তথ্যটি ফাঁস হয়ে গেছে।

পর্নো আক্রমণ ফেসবুক-এ (Facebook.com is attacked by Porn !?!)


পর্নো আক্রমণ ফেসবুক-এ

১৬ নভেম্বর হঠাৎ করেই ফেসবুকের নিউজ ফিডে পর্ন আর স্প্যামের মাত্রা বেড়ে গেছে। আর স্প্যাম ছড়ানোর এই কারণটি অনুসন্ধান করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।

ফেসবুকে আপত্তিকর এ উপাদানের উৎস কোথায় সেটি প্রথমে জানা সম্ভব না হলেও স্প্যামাররা ভাইরাস ব্যবহার বা অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করেও এটা করতে পারে বলেই মত দিয়েছিলেন নিরাপত্তা গবেষকরা।

১৬ নভেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুকে হার্ডকোর পর্নো এবং বিব্রতকর অশালীন ছবি যারা ছড়িয়েছে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমরা সিস্টেম উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং নিয়ম ভঙ্গ করে এমন পোস্টগুলো সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

ফেসবুকে যেসব আপত্তিকর পোস্ট করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে মাইলি সাইরাস এবং জাস্টিন বিবারের এডিট করা ভিডিও এবং ছবিও রয়েছে।

কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস-এর বিশেষজ্ঞ গ্রাহাম ক্লুলেই আপত্তিকর পোস্টগুলোতে ক্লিক না করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো স্প্যাম এবং কম্পিউটারে ভাইরাস ছড়াতে পারে।