28 April 2012

এখন জিমেইল ১০ গিগা


সম্প্রতি বিনামূল্যে জিমেইল ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ১০ গিগাবাইট করেছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। গুগলের ক্লাউড স্টোরেজ সেবা গুগল ড্রাইভের উদ্বোধন উপলক্ষেই ব্যবহারকারীদের জিমেইলে এই বাড়তি জায়গা দিয়েছে তারা। খবর দি নেক্সট ওয়েব-এর।

সূত্র জানিয়েছে, এর আগে যে কেউ বিনামূল্যে জিমেইলে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রায় সাড়ে সাত গিগাবাইট জায়গা পেতেন। গুগল তা সম্প্রতি ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ গিগাবাইট করেছে। জিমেইলের লগইন পেইজেই বরাবরের মতো এই তথ্য দিয়ে রেখেছে গুগল।

দি নেক্সট ওয়েব বলছে, গুগল ড্রাইভের পাশাপাশি জিমেইলের এই বাড়তি জায়গাও ক্লাউড স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। কেবল একটি ফাইল অ্যাটাচমেন্টে জুড়ে দিয়ে নিজের ঠিকানায় ইমেইল করলেই তা ক্লাউডে সংরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ, কেবল জিমেইল আর গুগল ড্রাইভ থাকলেই যে কেউ ১৫ গিগাবাইট জায়গা একেবারে বিনামূল্যে পেয়ে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ইউটিউব আর গুগল প্লাসে ভিডিও ও ছবির জন্য সীমাহীন জায়গা তো রয়েছেই।

আকাশছোঁয়া মুনাফার ঘোষণা দিলো অ্যাপল


সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি অ্যাপল চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে বিরাট অংকের লাভের ঘোষণা দিয়েছে। এই মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে শতকরা ৯৪ ভাগ। জানা গেছে, এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শেয়ারবাজারে অ্যাপলের শেয়ার মূল্য সাত শতাংশ বেড়ে গেছে। খবর টাইম ম্যাগাজিন-এর।

সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত তাদের আয়ের অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে ১১শ’ কোটি ডলার। মাত্র এক বছর আগেও এই অঙ্ক ছিল ছয়শ’ কোটি ডলার। এ ছাড়া কোম্পানির নিট লাভও গত বছরের তুলনায় ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে শেয়ার প্রতি দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৩০ ডলারে। এক বছর আগেও এই দাম ছিল ৬.৪০ ডলার।

টাইম জানিয়েছে, গত তিন মাসে অ্যাপল সাড়ে তিন কোটিরও বেশি আইফোন বিক্রি করেছে। অন্যদিকে আইপ্যাড বিক্রি করেছে এক কোটির কিছু বেশি। অন্যদিকে প্রায় ৪০ লক্ষ ম্যাক কম্পিউটারও এই তিনমাসে বিক্রি করেছে অ্যাপল।

বিশ্লেষকদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে অ্যাপলের সিএফও পিটার ওপেনহাইমার জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চীনে আইফোনের বিক্রি গত বছরের তুলনায় পাঁচগুণ বেড়েছে। গত তিনমাসে কেবল চীনেই আইফোন বিক্রি থেকে আয় হয়েছে প্রায় নয়শ’ কোটি ডলার।

অ্যান্ড্রয়েড ও ক্রোম প্রযুক্তির লাইসেন্স মাইক্রোসফটের!?


সম্প্রতি মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা তাইওয়ানের অন্যতম বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি পেগাট্রনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর ফলে গুগল-চালিত অ্যান্ড্রয়েড এবং ক্রোমে ব্যবহৃত প্রযুক্তির লাইসেন্স করে নিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী এই প্রতিষ্ঠানটি। খবর ম্যাশএবল-এর।

সূত্র জানিয়েছে, গুগলের পণ্য হওয়ার পরও এতে মাইক্রোসফটের পেটেন্ট ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি অনেককেই অবাক করতে পারে। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ও গুগল ক্রোম ব্রাউজারে ব্যবহৃত একাধিক প্রযুক্তিই সরাসরি মাইক্রোসফটের পেটেন্ট করা। আর এসবের কল্যাণে প্রতি বছর অ্যান্ড্রয়েড ও ক্রোম থেকে মাইক্রোসফটের পকেটে যাচ্ছে লাখ লাখ ডলার।

পেগাট্রন তাওয়ানের অন্যতম ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস প্রস্তুতকারক যারা অ্যাপল, এইচপি, এইচটিসি ইত্যাদি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য অ্যাসেম্বল করে থাকে। মাইক্রোসফটের সঙ্গে স্বাক্ষরিত নতুন চুক্তির প্রভাব পড়বে এই কোম্পানির তৈরি করা যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড অথবা ক্রোম-চালিত ই-রিডার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনে। ম্যাশএবল জানিয়েছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ৭০ শতাংশ চলে আসবে মাইক্রোসফটের লাইসেন্সে।

তবে এই চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দু’পক্ষের কেউই জানায়নি

৯ জুলাই বিচ্ছিন্ন হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগ!


সম্প্রতি জানা গেছে, জুলাইয়ের ৯ তারিখে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার কম্পিউটারের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। পিসি ওয়ার্ল্ডের বরাত দিয়ে ম্যাশএবল এই খবর জানিয়েছে।

সূত্র মতে, পিসি এবং ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ২০০৭ সালে ছড়িয়ে পড়া এক ট্রোজানের কারণে জুলাইয়ের ৯ তারিখে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে হাজার হাজার মানুষ। ডিএনএস চেঞ্জার নামের এই ট্রোজান মূলত আক্রান্ত কম্পিউটারের ইন্টারনেট সেটিংস পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় সঠিক ঠিকানা চাপলেও ট্রোজান যারা তৈরি করেছে তাদের ডিএনএস সার্ভার হয়ে ওয়েবসাইট আসে। এতে করে হ্যাকাররা ইচ্ছেমতো আক্রান্ত কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে তাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে পারবে।

ম্যাশএবল জানিয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অনেকদিন আগেই এই ট্রোজান যারা তৈরি করেছে তাদের গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে তাদের ডিএনএস সার্ভারগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রচুর কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত হওয়ায় এফবিআই ব্যাকআপ হিসেবে নিজেরাই কিছু সার্ভার বসিয়েছে। 

ট্রোজানের সার্ভার বন্ধ করে দেয়া হলেও সূত্র জানিয়েছে, এখনও বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার ম্যাক ও উইন্ডোজ কম্পিউটারে এই ট্রোজান রয়েছে। এফবিআই-এর ব্যাকআপ সার্ভারের মাধ্যমেই ডিএনএস রাউটিং এখন পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চলছে। তবে জুলাইয়ের ৯ তারিখ এফবিআই এসব সার্ভার বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে ট্রোজান আক্রান্ত কম্পিউটারগুলো সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

সূত্র জানিয়েছে, মাত্র চার মাসের জন্য এফবিআই ডিএনএস সার্ভারগুলো চালু করা হলেও আদালতের নির্দেশে সেগুলো এতোদিন ধরে সক্রিয় আছে। তবে এবার জুলাইয়ের ৯ তারিখেই এগুলো বন্ধের তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে।

ব্যবহারকারীরা তাদের কম্পিউটার এই ট্রোজানে আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করার জন্য ডিএনএস চেঞ্জার চেক-আপ নামের এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। ঠিকানা-

http://www.dns-ok.us/

যদি ট্রোজান খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে যেসব অ্যান্টি-ভাইরাস টুল দিয়ে তা বিদায় করতে হবে তার তালিকা পাওয়া যাবে এই লিংকে http://www.dcwg.org/fix/

বিশেষ এই ট্রোজান বিষয়ে অদূর ভবিষ্যতে আরো দিক নির্দেশনা পেতে নজর রাখুন ব্লগ-এর পাতায়।