12 March 2012

গুগল ম্যাপসকে বাদ দিলো অ্যাপল


অ্যাপল সম্প্রতি তাদের আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য নতুন আইফটো অ্যাপ্লিকেশন রিলিজ করেছে। কিন্তু এর মধ্যে জিওট্যাগিং সুবিধা দিতে যে ম্যাপ রয়েছে, তা গুগল ম্যাপস নয়। খবর হাফিংটন পোস্টের।

সূত্র জানিয়েছে, গুগল ম্যাপস-এ সাধারণত গুগলের লোগো থাকে এবং দেখামাত্রই বোঝা যায় এটি গুগল ম্যাপ। কিন্তু আইফটোর সঙ্গে যে ম্যাপ জুড়ে দেয়া হয়েছে তাতে গুগলের নামগন্ধ নেই। এ ছাড়াও এতে তথ্যাদি অনেক কম এবং খুব একটা জুম করার সুবিধা নেই।

জানা গেছে, গুগলকে বাদ দিয়ে ওপেন সোর্স প্রজেক্ট ওপেনস্ট্রিটম্যাপ ফাউন্ডেশনের তৈরি ম্যাপ ব্যবহার করছে অ্যাপল। এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিনামূল্যে ম্যাপ তৈরি করা এবং যাদের প্রয়োজন তাদেরকে দেয়া। ফাউন্ডেশনটি তাদের সাইটেও অ্যাপলকে স্বাগত জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে আইফটো ডেস্কটপ সংস্করণ এখনো গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে বলেই জানা গেছে।

অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট এখন 'গুগল প্লে' ANDROID MARKET NOW CALL 'GOOGLE PLAY'


গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের নাম বদলে ফেলেছে বলে জানা গেছে। কয়েকটি সেবা একত্রিত করে এই সেবার নাম দেয়া হয়েছে গুগল প্লে। খবর ম্যাশএবল-এর।

সূত্র জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড মার্কেটের সব কন্টেন্ট এবং গুগল মিউজিক ও ইবুক স্টোরকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন থেকে গুগল প্লে নামে একইসঙ্গে গুগলের এসব সেবার প্রচারণা চালানো হবে।

ম্যাশএবল জানিয়েছে, মূলত গুগলের সেবা সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের আরো স্পষ্ট ধারণা দিতেই নামে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে অনেকেই হয়তো মনে করতেন যে অ্যান্ড্রয়েড মার্কেট থেকে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড ও কেনা যায়, কিন্তু তারা গুগলের মিউজিক সেবা বা ইবুক সেবা সম্পর্কে জানতেন না। তাদের এসব সেবা সম্পর্কে জানানোর জন্য আলাদাভাবে বিজ্ঞাপন দিতে হতো গুগলকে।

তবে এক নামের আওতায় এসব সেবা নিয়ে আসায় পুরো প্রক্রিয়াটা যেমন সহজ হয়ে যাবে, তেমনি নতুন গ্রাহক সংখ্যাও বাড়বে বলে আশা করছে গুগল।

গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ফের হামলা চালালো হ্যাকাররা


সম্প্রতি কিছু হ্যাকার অ্যান্টিসেক পরিচয়ে একটি কোম্পানির ওয়েবসাইটে হানা দিয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পণ্য বিক্রি করে। খবর বিবিসির।
সূত্র জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক আয়রনওয়ার্কের হোমপেজে পোস্ট করা মেসেজে বলা হয়েছে, ‘ট্রিবিউট টু জেরেমি হ্যামোন্ড।’ উল্লেখ্য, হ্যামোন্ড গত বছর ট্র্যাটফোর নামের একটি নেটওয়ার্কে হ্যাক করার অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং গত সোমবার শিকাগোতে গ্রেপ্তার হন।

এছাড়াও এফবিআই আরও পাঁচজনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে যাদের মধ্যে রয়েছেন আরেক হ্যাকার সংগঠন লুলজসেক-এর নেতা যিনি সাবু নামে পরিচিত। পরে তিনি গ্রুপের অন্য সদস্যদের ধরিয়ে দিতে এফবিআই-এর হয়ে কাজ করেছেন বলেও জানা গেছে।

'লুলজসেক' নেতার সহযোগিতায় ৭ হ্যাকার গ্রেফতার


সম্প্রতি হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দশ লাখেরও বেশি মানুষ। খবর বিবিসির।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, এদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন ‘লুলজসেক’ নামের হ্যাকার সংগঠনে এবং একজন ছিলেন অ্যান্টিসেক নামের সংগঠনের সদস্য। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, লুলজসেক সংগঠনের নেতা হেকটর এক্সেভিয়ার গত আগস্টে ১২টি অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, এই লুলজসেক গ্রুপের নেতাই এরপর থেকে গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের ধরিয়ে দিতে গোপনে এফবিআই-এর হয়ে কাজ করেছেন। আর তার ফলেই এসব সদস্যদের নাগাল পেয়েছে এফবিআই।