জানা গেছে, এনআরও-এর তৈরি টেলিস্কোপ দু’টি দেখতে নাসার হাবল টেলিস্কোপের মতো হলেও অনেক বেশি শক্তিশালী। এটি তৈরিতেও এনআরও ব্যবহার করেছে নাসার চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি।
অন্যদিকে একসঙ্গে দুটি স্পেস টেলিস্কোপের মালিকানা পেলেও টেলিস্কোপ দু’টি মহাকাশে পাঠানোর মতো অর্থ নেই দীর্ঘদীন ধরে বাজেট সংকটে ভুগতে থাকা নাসার। শুধু তাই নয়, টেলিস্কোপ দু’টি মহাকাশে পাঠানোর মতো অর্থ নাসা জোগাড় করতে পারলেও এখনো মহাকাশ যাত্রার জন্য পুরোপুরি উপযুক্ত হয়নি টেলিস্কোপ দু’টি।
হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে প্রায় ১শ’ গুণ শক্তিশালী নতুন এই টেলিস্কোপ দু’টি এনআরও তৈরি করেছিলো গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে। তাই এতে নেই মহাকাশ গবেষণার উপযুক্ত যন্ত্রপাতি। ওয়াশিংটনের রচেস্টার-এ পড়ে থাকা এই টেলিস্কোপ দু’টি মহাকাশ যাত্রা এবং মহাকাশ গবেষণার জন্য আপগ্রেড করতে হলে নাসার খরচ হবে কমকরে ১ বিলিয়ন ডলার, যা কিনা বর্তমানে নাসার সাধ্যের বাইরে। এখন থেকেই টেলিস্কোপ দু’টি নিয়ে কাজ শুরু করলেও ২০২৪ সালের আগে এগুলোর মহাকাশে পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনাই নেই বলেই মনে করছেন নাসার অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর একজন ডিরেক্টর পল হার্টজ।
তবে নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, দেরি করে হলেও মহাকাশের ডার্ক ম্যাটার নিয়ে গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে নতুন এই টেলিস্কোপ দু’টি। কিন্তু তারপরেও এনআরও-র এই টেলিস্কোপ দু’টি তৈরির পেছনে মূল উদ্দেশ্য কি ছিল এবং কেনই বা হঠাৎ করে নাসাকে উপহার দেয়া হলো, এই প্রশ্নগুলো থেকেই যায় বলে মন্তব্য করেছে মেইল।