05 July 2012

ইমেইল অ্যাড্রেস বদলিয়ে বিপাকে ফেইসবুক


কিছুদিন আগেই বিনা নোটিশে ইমেইল অ্যড্রেস বদলে দিয়ে ব্যবহারকারীদের রোষের মুখে পড়েছিলো ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। সে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বিপাকে পড়েছে এই সোশাল নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট থেকে ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করেন, এমন অনেক ব্যবহারকারীর কেবল ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের ইমেইল অ্যাড্রেসটিই নয়, বরং ইমেইল কন্ট্যাক্ট লিস্টের সবগুলো ইমেইল ঠিকানাও বদলে সেখানে ফেইসবুকের ডোমেইন বসিয়ে দিয়েছে। খবর বিবিসির।

জানা গেছে, ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের পুরো ইমেইল কন্টাক্ট লিস্ট বদলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, একটি সফটওয়্যার ত্রুটি বা ‘বাগ’। একসঙ্গে সব ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ইমেইল অ্যাড্রেস বদলে দেয়ার জন্যে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছিলো।

ফেইসবুকের এই সফটওয়্যার বাগ-এর কারণে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ব্ল্যাকবেরি, অ্যান্ড্রয়েড, অ্যাপলের আইওএস সিক্স এবং উইন্ডোজ ফোন এইট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা।

এদিকে এই সফটওয়্যার বাগটির কারণে ইউজারদের রোশের মুখে পড়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। সফটওয়্যার বাগটি অপসারণের জন্য লেগে আছেন ফেইসবুকের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ মিললো অটিজম ও ক্যান্সারের জিনের


শিশুদের ক্যান্সার, অটিজম, এনলার্জড ব্রেইন এবং এপিলেপ্সি (মৃগী)র মতো রোগের জন্য দায়ী জিন শনাক্ত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। টানা দুই দশকের গবেষণার পর এই আবিষ্কার করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। খবর সায়েন্স ডেইলির।

বিজ্ঞানীরা জানান, ‘একেটিথ্রি, পিআইকেথ্রিআরটু এবং পিআইকেথ্রিসিএ’ এই তিনটি জিনের বিবর্তনের কারণে ক্যান্সার, অটিজম, এপিলেপ্সি এবং মেগালেনসিফালি বা এনলার্জড ব্রেইন সাইজের শিকার হচ্ছে শিশুরা। সব মানুষের শরীরেই রয়েছে এই তিনটি জিনের উপস্থিতি। কিন্তু যাদের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত হচ্ছে, তারাই আক্রান্ত হচ্ছে ওই রোগগুলোতে। এর আগে পিআইকেথ্রিসিএ জিনটির ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা নিশ্চিত করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

সিয়াটল চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর ক্যান্সার স্পেশালিস্ট ডক্টর জেমস ওলসন এ ব্যাপারে বলেন, ‘টানা দুই দশকের গবেষণার ফসল এই আবিষ্কার। এর ফলে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হবে।’

শিশুদের দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগ নিয়ে রহস্যের সমাধানে বড় একটি অগ্রগতি হিসেবে বিজ্ঞানীরা বিবেচনা করছেন এই আবিষ্কারকে। ‘বাচ্চাদের ব্রেইন ম্যালফাংশনের মতো কঠিন সমস্যাগুলোর পেছনের অনেক কারণই বোধগম্য হচ্ছে এই আবিষ্কারের ফলে।’

অটিস্টিক শিশুদের বন্ধু হবে রোবট 'পপচিলা'


সন্তানের শিক্ষার জন্য সবসময়ই সবচেয়ে ভালো উপায়ই খোঁজেন বাবা-মা। তবে ভালোবাসার সন্তানটি যতি অটিস্টিক বা স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের শিকার হয় তবে সাধারণ শিক্ষা একরকম অসম্ভবই হয়ে পড়ে। এ জন্যেই খেলায় খেলায় অটিস্টিক শিশুদের শেখাতে ইন্টারবট তৈরি করেছে নতুন রোবট ‘পপচিলা’। খবর রয়টার্স-এর।

নতুন এই খেলনা রোবটটি নিয়ে বেশ খুশি ইন্টারবট সিইও সিমা প্যাটেল। তিনি জানিয়েছেন রবোটটিকে চালাবে পপচিলা’স ওয়ার্ল্ড নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন। আর মোবাইল ফোনেও চালানো যাবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি।

দেখতে চিনচিলা বা দক্ষিণ আমেরিকান কাঠবেড়ালির সঙ্গে কিছু মিল আছে পপচিলার। বেশ ঘুরে ফিরে বেড়াতেও পারে পপচিলা। এমনকি বাচ্চাদের সঙ্গে খেলার সময় মজার কিছু মুখভঙ্গীও করতে পারবে এই রোবটটি। আর এটির অপারেটিং অ্যাপ্লিকেশনটিও খেলার ছলে বাচ্চাদের শেখাবে অনেক কিছু।

এখনো পপচিলার কার্যক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রদর্শনীর আয়োজন না করলেও, কার্নেগি মেলোন ইউনিভার্সিটি গত ৬ মাস ধরে পপচিলা রোবটটি তাদের গবেষণার কাজে ব্যবহার করছে বলেই জানিয়েছেন প্যাটেল। অটিস্টিক শিশুদের যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে পপচিলা সহযোগিতা করবে বলে আশা করছেন তিনি।

ইইজির মাধ্যমে নির্ধারণ করা যাবে অটিজম


আমেরিকার বস্টন চিলড্রেন হসপিটালের গবেষকরা ইইজি-এর মাধ্যমে দুই বছরের শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ মাপতে সক্ষম হয়েছেন। প্রায় ১ হাজার শিশুর ওপর সমীক্ষার পর গবেষকরা কোনো শিশু অটিস্টিক কিনা তা প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ নির্ভুলভাবে নির্ধারণ করতে পেরেছেন। খবর বিবিসি নিউজ-এর।

অটিজম এমন একটি রোগ, যেখানে শিশুর মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণভাবে হয় না। এ ধরনের শিশুরা প্রায়শই সামাজিকভাবে মিশতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের নিজস্ব জগতেই বন্দী থাকে।

সাধারণত অটিজম সহজে নির্ণয় করা যায় না। ইইজি-এর মাধ্যমে ৩৩ ধরনের অটিজম নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছে। গবেষকরা ১০ বার এ পরীক্ষার পর সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ইইজির মাধ্যমে নির্ধারিত অটিজম শতকরা ৯০ ভাগ সঠিক।

গবেষকদের দলটির প্রধান ড. ফ্র্যাঙ্ক ডাফি বলেন, ‘অ্যাসপারগারস সিনড্রম অটিসমের একটি সম্পূর্ণ আলাদা পরিস্থিতি। ইইজির মাধ্যমে অটিজম নির্ণয় করা সম্ভব।’

ন্যশনাল অটিস্টিক সোসাইটির ক্যারলাইন হটারসলে বলেন, ‘এ গবেষণাটি আমাদেরকে আরও ভালোভাবে অটিজম বুঝতে সাহায্য করবে।’

আসছে ব্ল্যাকবেরি ট্যাবলেট


ব্ল্যাকবেরি প্রস্তুতকারক রিম আগামী বছরের শরৎকালে ব্ল্যাক ফরেস্ট নামে একটি নতুন ট্যাবলেট পিসি আনার পরিকল্পনা করেছে। একটি গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এই খবরটি জানা গেছে। খবর টেলিগ্রাফ নিউজ–এর।

ব্ল্যাকবেরি ব্লগে প্রকাশ করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এসবই রিমের ক্লাসিফায়েড তথ্য যা থেকে ব্ল্যাকবেরির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

ব্ল্যাকবেরির ফাঁস হওয়া ‘রোডম্যাপ’ থেকে জানা গেছে, ব্ল্যাকবেরি ফোরজি প্লেবুক যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে তৈরি হচ্ছে, সেটি আসবে ২০১২ সালের শেষ দিকে এবং নতুন ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি আসবে ২০১৩ সালের শুরুতে।

ব্ল্যাকবেরি ১০ ডিভাইসটি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রায় সব প্রযুক্তি ব্লগ সাইটেই বলা হচ্ছে, এতে ১০ ইঞ্চি স্ক্রিন থাকবে যা প্লেবুকের স্ক্রিনের তুলনায় বড় এবং এতে ১২৮জিবি মেমোরি থাকবে। তাদের ‘রোডম্যাপ’ থেকে আরো দু’টি নতুন প্রোডাক্ট-এর নাম জানা গেছে। প্রোডাক্ট দু’টির কোডনেম ‘ন্যাশভিল’ এবং ‘নেপলস’।

এদিকে গত সপ্তাহে রিম ঘোষণা করেছে, তারা ব্ল্যাকবেরি ১০ আরো দেরিতে রিলিজ করবে। এর ফলে ব্ল্যাকবেরির শেয়ার মূল্য ২০% কমে গেছে। এই সম্পর্কে স্ক্রিন ডাইজেস্ট-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল বলেছেন, ‘আগামী প্রজন্মের পণ্যের মাধ্যমে, রিমের এখন একটি বড় সাফল্য প্রয়োজন। তার বদলে তারা দেরি করে নিজেদেরই ক্ষতি করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাজার রিমের প্রতি ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছে’।

অ্যান্ড্রয়েড থেকেও উঠে যাচ্ছে ফ্ল্যাশ


অ্যাডোবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ব্রাউজার প্লাগইন সাপোর্ট করবে না গুগলের নতুন অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ডয়েড ৪.১ জেলি বিন। ফ্ল্যাশের বদলে এইচটিএমএল৫-ই হবে স্মার্টফোন ব্রাউজারের মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টগুলোর ভবিষ্যত। স¤প্রতি এক অফিসিয়াল ব্লগ বার্তায় এ খবর জানিয়েছে অ্যাডোবি কর্তৃপক্ষ। খবর ম্যাশেবল-এর।

অ্যাডোবি তাদের অফিসিয়াল ব্লগে জানায়, অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলি বিন অপারেটিং সিস্টেমটি অ্যাডোবি ফ্লাশ প্লেয়ার সাপোর্ট করবে না। শুধু তাই নয়, স্মার্টফোনগুলোর অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৪.১-এ আপগ্রেড করা হলে ফ্ল্যাশ প্লেয়ারটি আনইনস্টল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ফ্ল্যাশ প্লেয়ারের ওপর নির্ভরতার দিন যে ফুরিয়ে এসেছে তা প্রথম ২০১০ সালে এক খোলা চিঠিতে জানিয়েছিলেন অ্যাপল প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস। ‘থটস অন ফ্ল্যাশ’ শিরোনামে ওই চিঠিতে সে সময় জবস জানিয়েছিলেন, অ্যাপল আইফোন আইপ্যাড বা আইপড টাচ-এর কোনোটিই ফ্ল্যাশ প্লেয়ার সাপোর্ট করবে না। 

স্টিভ জবস সে সময় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফ্ল্যাশের দিন ফুরিয়ে আসছে। প্রায় একই মন্তব্য তিনি করেছিলেন ডি এইট কনফারেন্সে। স্টিভ জবসের ওই ভবিষ্যতবাণীকে সে সময় অনেকেই অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে, শেষ পর্যন্ত সম্ভবত তার কথাই সত্যি হচ্ছে।

২০১১ সালের নভেম্বর মাসেই অ্যাডোবি মোবাইল ব্রাউজারের জন্য ফ্ল্যাশ প্লেয়ারের ডেভেলপমেন্ট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলো। আর এ বছরের ১৫ অগাস্ট-এর পর থেকে গুগলের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন স্টোর গুগল প্লে-র ফ্ল্যাশ প্লেয়ার আপডেটগুলোও বন্ধ করে দেবে অ্যাডোবি।

৫ম জন্মদিনে অ্যাপল আইফোন


টেক বোদ্ধাদের মতে, একুশ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় কনজিউমার ইলেকট্রনিক পণ্য অ্যাপল আইফোন। শুরুতে একটি অভিজাত পণ্য হিসেবে বাজারে এলেও ধীরে ধীরে সবধরণের পেশাজীবী মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্মার্টফোনটি। প্রয়াত টেক গুরু স্টিভ জবসের তত্ত্বাবধানে অ্যাপলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনি আইভ-এর ডিজাইন করা এই স্মার্টফোনটি গত ৫ বছরে পাল্টে দিয়েছে হ্যান্ডহেল্ড ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের চিত্র; শুরু করেছে নতুন এক টেকনোলজি বিপ্লবের।

২০০৭ সালের ২৮ জুন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন নির্মাতার স্থানটি দখলে ছিলো নোকিয়ার। আর কর্পোরেট অফিসারদের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের জায়গা করে নিয়েছিলো ব্ল্যাকবেরি। কিন্তু এ সবই পাল্টে যায় ২০০৭ সালের ৩০ জুন অ্যাপল আইফোন বাজারে আসার পর। ৬০০ ডলার দামের আইফোনটি তখন অনেকের কাছেই মনে হয়েছে ধনীদের জন্য তৈরি একটি মোবাইল ফোন মাত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুল প্রমাণিত হয়েছে এই ধারণা। এখনও বিশ্বব্যাপী ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন আইফোন। কনস্ট্রাকশন সাইটে ইঞ্জিনিয়াররা ব্লু-প্রিন্টে নজর রাখতে ব্যবহার করছেন আইফোন, রোগীদের চিকিৎসায় হাসপিটালে চিকিৎসকদের সঙ্গী হচ্ছে আইফোন, এমনটি বাচ্চাদের মধ্যেও জনপ্রিয় আইফোন। আইফোন বর্তমান হ্যান্ডহেল্ড গ্যাজেট টেকনোলজিকে এতোভাবে বদলে দিয়েছে যা হয়তো শতাব্দীতে একবারই ঘটে।
টাচ স্ক্রিন বিপ্লব
আইফোনের আগেও বাজারে টাচস্ক্রিন ছিলো, কিন্তু টাচ স্ক্রিন বিপ্লব সম্পন্ন করেছে অ্যাপল এই আইফোন দিয়েই। ২০০৭ সালের আগে নিউম্যারিকাল ফুল সাইজ কিবোর্ডে টেক্সট টাইপ করতে করতেই ক্লান্ত হয়ে পড়তেন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। কিন্তু অ্যাপল নিউম্যারিকাল কিবোর্ড এড়িয়ে বেছে নেয় ফুল টাচ স্ক্রিন কিবোর্ড। রাতারাতি ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের মনও জয় করে নেয় অ্যাপলের এই সিম্পল ইউজেবিলিটি। আইফোনের প্রথম মডেলটি নিয়ে টেক বোদ্ধাদের একমাত্র আপত্তিটিও ছিলো এই টাচ স্ক্রিন নিয়ে। ব্ল্যাকবেরির মতো দ্রুত গতিতে আইফোনে টাইপ করা না যাওয়ায় এর সাফল্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু বাজারে আসার ৩ মাসের মধ্যেই ১০ লাখের বেশি আইফোন বিক্রি করে টেক বোদ্ধাদের ওই শঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে অ্যাপল।

এরপর স্পেল চেক সফটওয়্যার, টেক্সট প্রেডিক্টিভ সফটও্যার আর কাট-পেস্ট অপশন দিয়ে হাই স্পিড কিবোর্ডের অভাব মিটিয়েছে আইফোন। আর এখন সিরি ভয়েস অ্যাসিসটেন্ট ফিচারের বদৌলতে ব্যবহারকারীর ভয়েস কমান্ড থেকেই টেক্সট টাইপ করে নিচ্ছে স্মার্টফোনটি। অ্যাপল আইফোন টাচ স্ক্রিনের এই সাফল্যই মূল শক্তি জোগায় টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোন যুগের।
আইওএস ও অ্যাপ স্টোর
টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের ব্যবহার ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক সহজ করে দিলেও আইফোনের বিশ্বব্যাপী সাফল্যেও মূল রহস্য এটির আইওএস অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর। আইওএস-এর সহজবোধ্যতা আর কম্পিউটিং ক্ষমতা রাতারাতি পার্সোনাল কম্পিউটারের সুযোগ সুবিধা এন দেয় ব্যবহারকারীর হাতের মুঠোয়। আর অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহারকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে নিজের প্রয়োজনমতো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ব্যবহার করার।

২০০৮ সালে লঞ্চ করার পর থেকে অ্যাপল অ্যাপ স্টোর আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে একরকম অ্যাপ্লিকেশন স্বর্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব ধরনের ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথা রেখেই অ্যাপ স্টোরটি তৈরি করে অ্যাপল। দৈনন্দিন জীবনে থেকে শুরু করে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করার মতো অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে। অ্যাপ স্টোরের এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে যেমন সূর্য পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব, তেমনি সম্ভব রেস্টুরেন্টের রিজার্ভেসনও। শুধু তাই নয়, এই স্টোরটিতে রয়েছে শপিং লিস্ট সিনক্রোনাইজ করার মতো অ্যাপ্লিকেশন, ক্যাশ রেজিস্টার, মিউজিশিয়ানদের জন্য রয়েছে ড্রাম মেশিনের মতো অ্যাপ্লিকেশন। এমনকি পোষা কুকুর-বেড়ালের জন্যেও রয়েছে পেট ফ্রেন্ডলি অ্যাপ্লিকেশন। বর্তমানে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে রয়েছে সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন, যা মধ্যে রয়েছে একদম ফ্রি থেকে শুরু করে ১০০০ ডলারের স্পেশালাইজড বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন।
মোশন ও অরিয়েন্টেশেন সেন্সর
আইফোনের সাফল্যের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, এর মোশন এবং অরিয়েন্টেশেন সেন্সরগুলো। আইফোনের বর্তমান মডেলটিতে রয়েছে অ্যাক্সেলোমিটার, জাইরোস্কোপ এবং কম্পাস। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা আইফোনের গেইমস আর অ্যাপ্লিকেশনগুলোর চোখ ধাঁধানো ইফেক্ট তৈরি করতে নির্ভর করেন এই সেন্সরগুলোর ওপর।
পিসি বনাম ম্যাক যুদ্ধে আইফোনের জয়
মাইক্রোসফট পিসি বনাম অ্যাপল ম্যাকিন্টোশ-এর লড়াই চলে আসছে সেই ৮০র দশক থেকে। পিসি ব্যবহারকারীদের অনেকদির ধরেই ম্যাক-এর জগতে টেনে আনার চেষ্টা করে আসছিলো অ্যাপল। পিসি বনাম ম্যাক লড়াই এখনও শেষ না হলেও আইফোন আর আইপ্যাড-এর কারণে অনেকটাই এগিয়ে গেছে অ্যাপল। পিসি ব্যবহারকারীরা সাধারণত অ্যাপলের পণ্যগুলো থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলতেন। কিন্তু আইফোন বাজারে আসার পর এই স্মার্টফোনটি দিয়েই গত ৫ বছরে অ্যাপল এর জগতে অভিষেক হয়েছে অনেক পিসি ব্যবহারকারীর। অ্যাপল আইফোনের অপারেটিং সিস্টেমের সহজবোধ্যতা, সিম্পল ইউজেবিলিটি আর অ্যাপ স্টোরের কয়েক লাখ ইউজার ফ্্েরন্ডলি অ্যাপ্লিকেশনের প্রেমে পড়ে পিসি ছেড়ে অ্যাপল ভক্তের খাতায় নাম লিখিয়েছেন অগণিত পিসি ব্যবহারকারী।

আইফোন পাল্টে দিয়েছে মোবাইল গেইমিং দুনিয়া
২০০৮ সালে অ্যাপল অ্যাপ স্টোর লঞ্চ হবার আগ পর্যন্ত মোবাইল গেইমিং মানেই ছিলো নিনটেনডো বা সনির পকেট গেইমিং সিস্টেম। শেষ হয়ে এসছে স্ট্যান্ড অ্যালোন মোবাইল গেইমিং ডিভাইসের যুগ। এক অ্যাপল আইফোনের কাঁধে ভর করেই মোবাইল গেইমিং ইন্ডাস্ট্রি পৌঁছে গেছে সাফল্যের নতুন এক চূড়ায়। অ্যাপলের আগে ২০০৩ সালে নোকিয়া সেল ফোন আর মোবাইল গেইমিং ডিভাইসের সংমিশ্রনে তৈরি করেছিলো এন-গেজ গ্যাজেট। সে সময় অনেক টেক বোদ্ধা মোবাইল গেইমিং প্লাটফর্ম প্লাস সেল ফোন ডিভাইসের যুগ শুরু হচ্ছে বললেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো গেইমাররা। কিন্তু সেটা পুরনো কথা, শুধু দৈনন্দিন জীবন বা পেশাগত কাজে ব্যবহার করার জন্য নয়, বরং গেইমিং ডিভাইস হিসেবেও পুরো বিশ্বের গেইমারদের মন জয় করে নিয়েছে আইফোন। গত ৫ বছরে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে মোবাইল গেইমিংয়ের সংজ্ঞা।
মোবাইল টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির নতুন যুগ
এমনটা বলাই যায় যে, মোবাইল টেকনোলজির ইতিহাসে ব্ল্যাকবেরি অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়েছে আইফোন। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে আইফোনের অবদানেই শুরু হয়েছে মোবাইল টেকনোলজি ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়। পুরো মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিই বদলে দিয়েছে অ্যাপলের আইফোন। পৃথিবীর সব বড় মোবাইল ফোন নির্মাতাই এখন অনুসরণ করার চেষ্টা করছে অ্যাপল আইফোনের দেখানো পথ। তারপরও আইফোন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিগুলো। আইফোনের অনুকরণেই গুগল তৈরি করছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। শেষ পর্যন্ত চির প্রতিদ্ব›দ্বী মাইক্রোসফটও আইফোনের কাছে হার মেনে নিয়েছে উইন্ডোজ ৮ ওএস দিয়ে। এক কথায় বলতে গেলে বিশ্বব্যাপী ইউজার ফ্রেন্ডলি মোবাইল ফোন তৈরির মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাপল আইফোন।

অনেক টেক বোদ্ধার মতে, আইফোন আর আইপড টাচই হচ্ছে অ্যাপল আইপ্যাড-এর পেছনের মূল অনুপ্রেরণা। টেক বোদ্ধাদের এই বক্তব্য কতোটা নির্ভরযোগ্য এমন প্রশ্ন করেন অনেকেই। কিন্তু আইপ্যাডের পেছনের মূল অনুপ্রেরণা আইফোন হোক বা না হোক মজার ব্যপার হচ্ছে আইফোনের পর এখন ট্যাবলেট পিসির বাজার দখলে আইপ্যাডের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে অ্যামাজন, মাইক্রোসফট এবং গুগলের মতো কোম্পানিকে।

৩০ জুন ষষ্ঠ বছরে পা দিলো অ্যাপল আইফোন। গত ৫ বছরে আইফোন শুধু মোবাইল টেকনোলজির জগতটি পুরোপুরি পাল্টেই দেয়নি বরং জন্ম দিয়েছে নতুন এক অধ্যায়ের; অ্যাপল ভক্তদের কাছে যা আইফোন কালচার নামে পরিচিত।

26 June 2012

Western Democracies Continue their Attempts to Filter Google

Google has recently disclosed how many takedown notices the company has got from government agencies. The search engine confessed that it has received over 1,000 requests within 6 months from the governments to take down data from its search results or YouTube video.

Google slammed a so-called alarming trend by governments to try and censor the people. The company published its twice-yearly Transparency Report, saying that the above mentioned requests were aimed at having around 12,000 items overall deleted. This figure was 25% more than during the first 6 months of 2011. This means that the government agencies are getting a taste for censorship.

Google’s senior policy analyst admitted they hoped the rise earlier in 2011 had been a one off, but it appeared that it hadn’t. Plenty of the requests were aimed at silencing political speech. The most interesting part is that they came from Western governments, which are not usually associated with filtering.

Although Google didn’t list anything specific, the search engine still said that it was really surprised by the UK and the US spending most of their time trying to censor websites. The United States was said to be especially bad. The company complained that police prosecutors, courts and other agencies submitted almost 200 requests within the last 6 months of 2011, which doubles the number of the requests submitted in the first 6 months.

Meanwhile, Spain asked Google to take down 270 links to blogs and newspaper articles which criticized public figures, the list including mayors and public prosecutors. However, the search giant said no to that one. In response, a couple months ago the highest court of the country asked the European Court of Justice to find out whether the requests submitted by citizens to removed the links were lawful.

The company admits that in some countries it has no choice but to comply with these requests, because some types of political speech are against the law there. For instance, in Germany Google removed videos from YouTube with Nazi references as those were banned. Another example is Thailand videos that feature the monarch with a seat over his head – they were also removed for being insulting.

Finally, one takedown request came from Canada, where the company was asked by the authorities to remove a YouTube video featuring a citizen having a nintendo on his passport and flushing it down the loo. The search giant said no to this one as well.

Julian Assange Hides in Embassy






WikiLeaks founder seems to have broken his bail conditions and ran to Ecuador’s embassy in London to ask for asylum. In other words, he didn’t actually care about people who raised £200,000 bail for him and legged it when he had the opportunity.

Julian Assange is currently trying to avoid extradition to Sweden over sex crime accusations. He believes that if he is extradited there, the Swedes will hand him over to the United States, where he will face spying charges. Meanwhile, Ecuadorian Foreign Minister announced that his country would weigh the request from Assange. WikiLeaks founder has been fighting extradition to Sweden for a year and a half. He was accused of rape and sexual assault by his two female former volunteers.

It is clear why Assange picked Ecuador – this country has a leftist and anti-Washington president. While Julian might miff the US over the move, he has also embarrassed the UK government and may well have caused his wealthy backers to lose their bail money. In addition, the risk remains that Ecuador might not want to help him – the country invited WikiLeaks founder a few years ago to seek residency, but then it quickly backed away from the proposal, accusing Assange of breaking American laws.

Today Ecuador claims that Julian’s application for protective asylum shouldn’t be regarded as the Government of Ecuador interfering in the judicial processes of either the UK or Sweden.

Although Ecuador has an extradition treaty with the United States, it doesn’t cover political charges, so the country has to satisfy itself that the charges against WikiLeaks founder are political rather than criminal. However, this might appear not that easy, because Assange hasn’t been charged with a political crime. Meanwhile, Assange moaned that his native country of Australia had refused to defend him, though the country promised to continue assisting Assange, since it opposed any extradition of its citizens on charges which carry the death penalty.

WikiLeaks founder fears extradition to the United States, where espionage and treason are punished with the death penalty, while Sweden doesn’t have the death penalty. Moreover, neither Sweden nor the US has even charged him with treason or spying.

As for the attorney of the plaintiffs, Assange’s latest move was no surprise for him, but he expected Ecuador to reject the request.

21 June 2012

China Attacked Top American Sites

Insecurity experts have recently detected a series of attacks coming from China and targeting SCADA security organizations, schools and defense contractors. The attacks in question used customized malicious files to entice targeted individuals into running them. Besides, the intruders also used a series of hacked servers working as command-and-control points.

The experts point out that both tactics and instruments used by the attackers show that they are most likely located in China. Digitalbond was targeted first – an outfit providing security services for ICS systems. Then the others followed a similar pattern.

The attack usually started with a spear phishing email sent to the workers of the targeted organization with PDF attachment enclosed. The attachment, when opened, installed a Trojan downloader named spoolsvr.exe. The latter connected to a C&C server at hxxp://hint.happyforever.com to download instructions and a payload from there. It also loaded another file, called tanghi.exe, which can’t be recognized by many anti-malware products. It plays the role of a remote access instrument, which provides the hacker a persistent presence on the infected machine.

Insecurity experts confirm that the users at Carnegie Mellon University, Purdue University and the University of Rhode Island have been targeted by the attackers. Aside from the universities, defense contractors were also targeted, including Chertoff Group, a consultancy governed by an ex-secretary of Homeland Security Michael Chertoff, and NJVC.

The experts say that the current approach is similar to the Shady Rat attacks, first revealed by McAfee a year ago, and might be the same people. Today the attacks aren’t random – instead, it seems that the targets are selected with care.