বিবিসি এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আক্রমণটি এতোটাই বড়
ছিলো যে, এর ফলে কার্যত স্থবির হয়ে গিয়েছিলো পুরো বিশ্বের ইন্টারনেট সংযোগ
ব্যবস্থা। প্রযুক্তি সংবাদ বিষয়ক সাইট টেক নিউজ ডেইলি জানিয়েছে, ওই সময়ে
ডেটা ট্রান্সফারের হার ছাড়িয়ে গিয়েছিলো প্রতি সেকেন্ড ৩০০ গিগাবাইট। ওই
সাইবার আক্রমণ বিষয়ে তদন্ত করতে এক সঙ্গে মাঠে নেমেছে পাঁচটি দেশের সাইবার
পুলিশ।
‘সর্বকালের সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণ’টির সূত্রপাত ল-ন ও
জেনেভা ভিত্তক স্প্যাম ফিল্টার প্রতিষ্ঠান স্প্যামহস এবং ডাচ ওয়েব হোস্টিং
প্রতিষ্ঠান সাইবারবাংকারের মধ্যে চলমান রেষারেষি থেকে। ল-ন ও জেনেভা
ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্প্যামহস একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা ইমেইল সেবা দাতা
প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্প্যাম ফিল্টার করতে সাহায্য করে।
স্প্যামারদের
হোস্ট করে এমন ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ব্ল্যাকলিস্ট রয়েছে
স্প্যামহসের। স্প্যাম এবং অপ্রয়োজনীয় ইমেইল আসা ঠেকাতে স্প্যামহসের
তালিকাটির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে পুরো বিশ্বের ইন্টারনেট সার্ভিস
প্রোভাইডারদের মধ্যে।
অন্যদিকে ডাচ প্রতিষ্ঠান সাইবারবাংকারের
বিরুদ্ধে রয়েছে স্প্যাম হোস্টিংয়ের পুরনো অভিযোগ। শিশু পর্ণোপ্রাফি আর
সন্ত্রাসবাদী কন্টেন্ট বাদে যে কোনো কন্টেন্ট প্রতিষ্ঠানটি হোস্টিং করে বলে
অভিযোগ রয়েছে আগে থেকেই। ১৯৯৮ সালে একদল হ্যাকার প্রতিষ্ঠা করে
সাইবারবাংকার।
সম্প্রতি স্প্যামহস সাইবারবাংকারের কয়েকটি সার্ভার
ব্লক করে দেয়ায় ক্ষেপে যায় হ্যাকারদের প্রতিষ্ঠানটি। স্প্যামহসের বিরুদ্ধে
সাইবার আক্রমণ শুরু করে সাইবারবাংকারের হ্যাকাররা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা
সাইবার আক্রমণ চরম আকার ধারণ করে ২৭ মার্চ। ডিনায়াল অফ সার্ভিস (ডিডিওএস)
আক্রমণের এক পর্যায়ে ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ড ৩০০ গিগাবাইট
ছাড়িয়ে যায়।
সাইবারবাংকারের আক্রমণের ঘটনাটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড়
সাইবার আক্রমণের ঘটনা বলে চিহ্নিত করলেও ইন্টারনেটের ওপর এর প্রভাব কতোটা
পরেছিলো তা নিয়ে বিপরীতমুখি তথ্য দিচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। মার্কিন
দৈনিক নিউ নিয়র্ক টাইমস এবং বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে ওই সাইবার
আক্রমণের ডেটা ট্রান্সফারের চাপে স্থবির হয়ে পরেছিলো পুরো বিশ্বের
ইন্টারনেট সংযোগ। কিন্তু সিনেট এবং টেক নিউজ ডেইলির মতে প্রযুক্তি সংবাদ
বিষয়ক সাইটগুলো বলছে পুরো দুনিয়া নয় কেবল পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশের ওপর
ইন্টারনেট সংযোগের ওপরই প্রভাব ফেলেছিলো ওই ঘটনা।
No comments:
Post a Comment