‘বাংলাদেশ সাইবার আর্মি নামের একটি গ্রুপের JingoBD নামে এক হ্যাকার ভারতীয় ৪৫টি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। একই গ্রুপের অপর হ্যাকার R3x0Man হ্যাক করেছে ২৫৫ টি ভারতীয় ওয়েবসাইট।’ তথ্যগুলো পরিবেশন করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
গত কয়েকদিন যাবত ওয়েব বিশ্বে অন্যতম আলোচিত ঘটনা বাংলাদেশ এবং ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোর নাজুক অবস্থা এবং হ্যাকিং। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার আরেকটি রিপোর্ট বলছে, ‘হ্যাকিংয়ের একদিন পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইট আবার ঠিক করা হয়েছে। এই সাইটটি তৈরি করেছিলেন হটমেইল প্রতিষ্ঠাতা সাবির ভাটিয়া।’
গত কয়েকদিন যাবত ওয়েব বিশ্বে অন্যতম আলোচিত ঘটনা বাংলাদেশ এবং ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোর নাজুক অবস্থা এবং হ্যাকিং। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার আরেকটি রিপোর্ট বলছে, ‘হ্যাকিংয়ের একদিন পর পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইট আবার ঠিক করা হয়েছে। এই সাইটটি তৈরি করেছিলেন হটমেইল প্রতিষ্ঠাতা সাবির ভাটিয়া।’
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রকাশনা জেডডি নেট সম্প্রতি খবরে বলেছে, বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স নামের একটি হ্যাকার সংগঠন ভারতীয় ২০ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। ভারতের সঙ্গে সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে দলটি দাবী করেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়াও একে বলেছে সাইবার ওয়ার।
শুরু হলো কীভাবে
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, ভারতীয় কিছু সংখ্যক হ্যাকার বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি ওয়েবসাইট হ্যাক করার পরপরই বাংলাদেশী হ্যাকাররা এই ‘সাইবার ওয়ার’-এ সামিল হয়।
শুরু হলো কীভাবে
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, ভারতীয় কিছু সংখ্যক হ্যাকার বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি ওয়েবসাইট হ্যাক করার পরপরই বাংলাদেশী হ্যাকাররা এই ‘সাইবার ওয়ার’-এ সামিল হয়।
কারা করছে এই হ্যাকিং
ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেটবিষয়ক বিভিন্ন পরিচিতির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো রাষ্ট্রীয় পরিচয় এখানে সবসময় আরোপ করা যায় না। একটি প্রতিষ্ঠানে অফিস হতে পারে বাংলাদেশে, সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি হতে পারে ভারতে এবং সেটি হোস্ট করা থাকতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে বাংলাদেশী বা ভারতীয় ওয়েবসাইট বলতে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় ওই ওয়েবসাইটগুলোর মালিক কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রীয় পরিচয়টিই। সেই হিসেবেই ‘ভারতীয়’ ওয়েবসাইট হ্যাক করার কৃতিত্ব দাবী করছে হ্যাকারদের গ্রুপগুলো। তবে এই হ্যাকিংয়ের কারণ হিসেবে একদিকে সামনে চলে এসেছে রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক বিষয়। অপরদিকে এটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় সীমানাও। কারণ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রবাসী অনেক হ্যাকারও এই লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন বলে দাবী এসেছে হ্যাকারদের গ্রুপগুলো থেকেই।
ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেটবিষয়ক বিভিন্ন পরিচিতির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো রাষ্ট্রীয় পরিচয় এখানে সবসময় আরোপ করা যায় না। একটি প্রতিষ্ঠানে অফিস হতে পারে বাংলাদেশে, সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি হতে পারে ভারতে এবং সেটি হোস্ট করা থাকতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে বাংলাদেশী বা ভারতীয় ওয়েবসাইট বলতে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় ওই ওয়েবসাইটগুলোর মালিক কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রীয় পরিচয়টিই। সেই হিসেবেই ‘ভারতীয়’ ওয়েবসাইট হ্যাক করার কৃতিত্ব দাবী করছে হ্যাকারদের গ্রুপগুলো। তবে এই হ্যাকিংয়ের কারণ হিসেবে একদিকে সামনে চলে এসেছে রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক বিষয়। অপরদিকে এটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় সীমানাও। কারণ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রবাসী অনেক হ্যাকারও এই লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন বলে দাবী এসেছে হ্যাকারদের গ্রুপগুলো থেকেই।
কারণটা কী
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ-এর হাতে গুলি করে হত্যার ঘটনা বরাবরই সোশাল মিডিয়ায় আলোচিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন বাংলা ব্লগেও এ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা ও পর্যালোচনা দেখা যায়। তবে সম্প্রতি এই ইস্যুই উঠে এসেছে হ্যাকিংয়ের কারণ হিসেবে।
বিভিন্ন সময়ে ভারতের ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করে সেগুলোর ঠিকানা অথবা স্ক্রিনশট ফেইসবুকে পোস্ট করছে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তা এবং ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এই গ্রুপের হ্যাকাররা জানিয়েছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই সাইবার যুদ্ধ চলতে থাকবে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ছাড়াও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর এবং ভারতীয় টিভি মিডিয়া বাংলাদেশে বন্ধ অথবা বাংলাদেশি মিডিয়া ভারতে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানায় এই সংগঠনটি।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ-এর হাতে গুলি করে হত্যার ঘটনা বরাবরই সোশাল মিডিয়ায় আলোচিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন বাংলা ব্লগেও এ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা ও পর্যালোচনা দেখা যায়। তবে সম্প্রতি এই ইস্যুই উঠে এসেছে হ্যাকিংয়ের কারণ হিসেবে।
বিভিন্ন সময়ে ভারতের ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করে সেগুলোর ঠিকানা অথবা স্ক্রিনশট ফেইসবুকে পোস্ট করছে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তা এবং ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এই গ্রুপের হ্যাকাররা জানিয়েছেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই সাইবার যুদ্ধ চলতে থাকবে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ছাড়াও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর এবং ভারতীয় টিভি মিডিয়া বাংলাদেশে বন্ধ অথবা বাংলাদেশি মিডিয়া ভারতে প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানায় এই সংগঠনটি।
পাবলিক রিলেশন, দূর শিক্ষণ
বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স নামে হ্যাকারদের ওই সংগঠন তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছে ফেইসবুক। একইনামে ফেইসবুকে একটি পেজ খুলেছে সংগঠনটি যা ইতোমধ্যেই প্রায় ২৯ হাজার ব্যবহারকারী লাইক করেছেন। পাশাপাশি তারা নিয়মিত ইমেইলে আপডেট পাঠাচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমগুলোয়।
আপডেট জানানোর পাশাপাশি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে হ্যাকিং বিষয়ক বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বিলি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স নামে হ্যাকারদের ওই সংগঠন তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছে ফেইসবুক। একইনামে ফেইসবুকে একটি পেজ খুলেছে সংগঠনটি যা ইতোমধ্যেই প্রায় ২৯ হাজার ব্যবহারকারী লাইক করেছেন। পাশাপাশি তারা নিয়মিত ইমেইলে আপডেট পাঠাচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমগুলোয়।
আপডেট জানানোর পাশাপাশি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর মাধ্যমে হ্যাকিং বিষয়ক বিভিন্ন টিউটোরিয়াল বিলি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কি হলো ওই সাইটগুলোর
হ্যাক করা সাইটের তালিকা থেকে অনেকগুলো সাইট ভিজিট করে দেখা গেছে, খুব শিগগিরই অধিকাংশ ওয়েবসাইট পুনরুদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। ভারতের পুলিশ ডিপার্টমেন্টসহ বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বৃহস্পতিবার ঠিকঠাক অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া সম্প্রতি হ্যাক করা কিছু ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে গ্র্যান্ড সুইটস অ্যান্ড স্ন্যাক্স এর সাইট যেখানে বৃহস্পতিবার বিএসএফ-এর গুলিতে সীমান্তে নিহত হওয়া ফেলানীর ঝুলন্ত মৃতদেহ ও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি দেখা গেছে। যেসব সাইট ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা আক্রমণ করেছেন বলে দাবি করেছেন, সেগুলোর মধ্যে বিএসএফ-এর ওয়েবসাইট ছাড়াও রয়েছে জনপ্রিয় সব ওয়েবসাইট যেমন মাহিন্দ্র এক্সপ্রেস, ভ্যালেন্টাইনগিফটইন্ডিয়া, শ্রী শ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, বলিউড মিউজিক, ইন্ডিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম, ইন্ডিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি।
হ্যাক করা সাইটের তালিকা থেকে অনেকগুলো সাইট ভিজিট করে দেখা গেছে, খুব শিগগিরই অধিকাংশ ওয়েবসাইট পুনরুদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। ভারতের পুলিশ ডিপার্টমেন্টসহ বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বৃহস্পতিবার ঠিকঠাক অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া সম্প্রতি হ্যাক করা কিছু ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে গ্র্যান্ড সুইটস অ্যান্ড স্ন্যাক্স এর সাইট যেখানে বৃহস্পতিবার বিএসএফ-এর গুলিতে সীমান্তে নিহত হওয়া ফেলানীর ঝুলন্ত মৃতদেহ ও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি দেখা গেছে। যেসব সাইট ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা আক্রমণ করেছেন বলে দাবি করেছেন, সেগুলোর মধ্যে বিএসএফ-এর ওয়েবসাইট ছাড়াও রয়েছে জনপ্রিয় সব ওয়েবসাইট যেমন মাহিন্দ্র এক্সপ্রেস, ভ্যালেন্টাইনগিফটইন্ডিয়া, শ্রী শ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, বলিউড মিউজিক, ইন্ডিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম, ইন্ডিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি।
কীভাবে সম্ভব হলো এতো সাইট হ্যাক করা
হ্যাকিং এর এক আপডেটে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স জানিয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি সার্ভারে রুট অ্যাক্সেস পেয়ে যাওয়ায় একইসঙ্গে প্রচুর ওয়েবসাইটে আক্রমণ করা সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়াও তারা একটি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করেছেন যার মাধ্যমে ডিডিওএস বা ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস আক্রমণ করে একটি ওয়েবসাইটকে সাময়িকভাবে অচল করে দেয়া যায়। এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড ও চালানোর নিয়মাবলি বিভিন্ন ব্লগ ও ফেইসবুকে শেয়ার হতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স-এর ফেইসবুক পেজ ঘেঁটে এই পুরো ঘটনায় বাংলাদেশিদের বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
তবে একেবারেই বসে নেই ভারতীয় হ্যাকাররা। ‘ইন্ডিয়ান সাইবার আর্মি’ নামে তারাও বেশ কিছু বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। তবে ইয়াহু নিউজের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স দাবি করেছে, ভারতীয় হ্যাকাররা আক্রমণ চালিয়েছে ৪০০ ওয়েবসাইটে যার জবাবে বাংলাদেশিরা অচল করে দিয়েছে ২০ হাজার ভারতীয় ওয়েবসাইট।
বিশেষজ্ঞ মত
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিডিকম অনলাইন-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যে সাইটগুলো হ্যাকিং হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে সে সাইটগুলো ভিজিট করে হ্যাকিংয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে হ্যাক যে হচ্ছে সেটা সত্যি। এতে লোকজনের আবেগ ও সমর্থন যথেষ্টই আছে বলেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ফোরামে।’
ভারতীয় পাল্টা হ্যাকিংয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশঙ্কা বিষয়ে সুমন বলেন, ‘সাধারণত হ্যাকিংয়ের শিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি সাইটগুলোই হয়। কারণ দেখা গেছে সরকারি সাইটের নিরাপত্তা দুর্বল হয়। এটা কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের বাস্তবতাই এটা। আমাদের সুবিধা হলো বিশাল আকারের কোনো অনলাইন ডেটাবেইজ আমরা এখনো তৈরি করতে পারিনি যে আমরা ক্ষতির আশঙ্কায় থাকবো। বলা চলে, পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর এখনো না হতে পারার সুবিধা পাচ্ছি আমরা।’
পুরো প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য বা সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করার কাজ চালিয়েই যাবে বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স, বাংলাদেশ সাইবার আর্মি ও অন্যান্য হ্যাকিং গ্রুপগুলো। অন্তত ফেইসবুক ও ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন এসব গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
হ্যাকিং এর এক আপডেটে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স জানিয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি সার্ভারে রুট অ্যাক্সেস পেয়ে যাওয়ায় একইসঙ্গে প্রচুর ওয়েবসাইটে আক্রমণ করা সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়াও তারা একটি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করেছেন যার মাধ্যমে ডিডিওএস বা ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস আক্রমণ করে একটি ওয়েবসাইটকে সাময়িকভাবে অচল করে দেয়া যায়। এই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড ও চালানোর নিয়মাবলি বিভিন্ন ব্লগ ও ফেইসবুকে শেয়ার হতে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স-এর ফেইসবুক পেজ ঘেঁটে এই পুরো ঘটনায় বাংলাদেশিদের বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।
তবে একেবারেই বসে নেই ভারতীয় হ্যাকাররা। ‘ইন্ডিয়ান সাইবার আর্মি’ নামে তারাও বেশ কিছু বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। তবে ইয়াহু নিউজের সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স দাবি করেছে, ভারতীয় হ্যাকাররা আক্রমণ চালিয়েছে ৪০০ ওয়েবসাইটে যার জবাবে বাংলাদেশিরা অচল করে দিয়েছে ২০ হাজার ভারতীয় ওয়েবসাইট।
বিশেষজ্ঞ মত
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিডিকম অনলাইন-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যে সাইটগুলো হ্যাকিং হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে সে সাইটগুলো ভিজিট করে হ্যাকিংয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে হ্যাক যে হচ্ছে সেটা সত্যি। এতে লোকজনের আবেগ ও সমর্থন যথেষ্টই আছে বলেও দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ফোরামে।’
ভারতীয় পাল্টা হ্যাকিংয়ে আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ হবার আশঙ্কা বিষয়ে সুমন বলেন, ‘সাধারণত হ্যাকিংয়ের শিকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি সাইটগুলোই হয়। কারণ দেখা গেছে সরকারি সাইটের নিরাপত্তা দুর্বল হয়। এটা কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বের বাস্তবতাই এটা। আমাদের সুবিধা হলো বিশাল আকারের কোনো অনলাইন ডেটাবেইজ আমরা এখনো তৈরি করতে পারিনি যে আমরা ক্ষতির আশঙ্কায় থাকবো। বলা চলে, পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর এখনো না হতে পারার সুবিধা পাচ্ছি আমরা।’
পুরো প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য বা সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করার কাজ চালিয়েই যাবে বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার্স, বাংলাদেশ সাইবার আর্মি ও অন্যান্য হ্যাকিং গ্রুপগুলো। অন্তত ফেইসবুক ও ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন এসব গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
No comments:
Post a Comment