লন্ডন, ২৮ নভেম্বর: নতুন বছরেই ইউরোপে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে জনপ্রিয় সামাজিক নেটোয়ার্ক ফেসবুক। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং এসব তথ্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রির অভিযোগে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে ইউরোপীয় কমিশন।
ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিভিয়ানা রিডিং-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দি সানডে টেলিগ্রাফ।
সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের আড়ালে ফেসবুক’র ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে অভিযোগ করে ভিভিয়ানা রিডিং বলেন, “এর মাধ্যমে ব্যাবহারকারীর রাজনৈতিক মতাদর্শ, যৌনতা, ধর্মীয় বিশ্বাস এমনকি তার অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যও পাচার করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ফেসবুক এই কাজটি করছে। আর ওই সফটওয়্যারের কারেণই এর ইন্ডিভিজ্যুয়াল প্রাইভেট সেটিংয়ে থাকা গোপনীয় বা ব্যক্তিগত তথ্য বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলো সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তথ্য পাচারের পথটিই বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন।”
এ সমস্যা সমাধানে ফেসবুক যদি কোনো উদ্যোগ না নেয় তবে এটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন ইইউ ভাইস প্রেসিডেন্ট।
তবে ইউরোপীয় কমিশনের এ অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক’র জনৈক মুখপাত্র জানান, ফেসবুক তার ইউজারদের কোনো তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে পাচার করে না। এটা করে থাকলে ব্যবহারকারী নিজেই করতে পারেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এ ক্ষেত্রে কোনো হাত নেই।