প্রয়োজনের খাতিরে একসময় নাম পাল্টেছিল কিন্তু বর্তমান সময়ে বহুল পরিচিত এমন
৭টি প্রতিষ্ঠানের এক তালিকা প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল।
ওই প্রতিবেদনটির আলোকে চলুন জেনে নেয়া যাক সে তালিকাটি-
১. ইয়াহু
বর্তমানে ইয়াহু ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ১৯৯৪ সালে যখন ইয়াহু যাত্রা শুরু করে তখন এর নাম ছিল ‘জেরি অ্যান্ড ডেভিড’স গাইড টু দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই সহপাঠি জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলোর লক্ষ্য ছিল তাদের নির্মিত সাইটটির মাধ্যমে যেন ইন্টারনেটের অন্যান্য সাইট সার্চ করা সম্ভব হয়। ম্যাশএবলের তথ্য অনুসারে, ওয়েবসাইটটি প্রতিষ্ঠার বছরখানেক পর ওই নাম পরিবর্তন করে ‘ইয়াহু’ রাখা হয়। ইয়াহুর পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘ইয়েট অ্যানাদার হায়ারারকিক্যালি অর্গানাইজড ওরাকল’।
২. অ্যাপল ম্যাকিনটশ
স্টিভ জবসের জীবনীর তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপলের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাকিনটশের নাম পরিবর্তন করে ‘দ্য বাইসাইকেল’ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ‘ম্যাক টিম’ বেঁকে বসায় জবস আর নাম পরিবর্তন করেননি। ‘ম্যাকিনটশ’ নামটি নির্বাচন করেছিলেন অ্যাপল কর্মকর্তা জেফ রাসকিন।
জবসের নিজের ভাষ্যমতে, তিনি নিজে আপেল খেতে খুব পছন্দ করতেন। আর ফোনবুকে গেইমিং কনসোল নির্মাতা আটারির আগে যেন অ্যাপল নামটি দেখা যায়, তাই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘অ্যাপল’ নির্ধারণ করেন তিনি। এখানে না বললেই নয়, জবস অ্যাপল শুরু করার আগে আটারিতে চাকরি করতেন।
৩. টুইটার
আরেকটু হলেই মাইক্রোব্লগিং সেবা টুইটারের নাম হয়ে যেত ‘জিটার’ বা ‘টুইচ’। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম তৈরিতে সহায়তাকারী নোয়া গ্লাস ‘টুইচ’-এর মতো ভিন্ন শব্দ খুঁজতে যেয়ে ‘টু্ইটার’ শব্দটি আবিষ্কার করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসিরও নামটি পছন্দ হয়। টুইটার শব্দের দুটি আভিধানিক অর্থ খুঁজে পেয়েছিলেন তারা। এর একটি ‘পাখিদের কোলাহল’ আর অন্যটি ‘অবান্তর তথ্যের বিস্ফোরণ’!
৪. গুগল
বর্তমানের ওয়েব জায়ান্ট গুগলের প্রথম নাম ছিল ‘ব্যাকরাব’। এটি অবশ্য ১৯৯৬ সালের ঘটনা, সেসময় শুধু স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সার্ভারেই প্রতিষ্ঠানটির সার্চ সেবা সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৯৭ সালে গুগলের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেইজ প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করেন। একের পর একশটি শূণ্য থাকলে সেটিকে গাণিতিক ভাষায় গুগল (Googol) বলা হয়। গাণিতিক ভাষার এ শব্দের আদলে নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনটির নাম পরিবর্তন করে গুগল (Google) রাখেন প্রতিষ্ঠাতাদ্বয়। অবশ্য নাম পরিবর্তনের আরেকটি উদ্দেশ্যও ছিল, তাদের নির্মিত সেবায় যে প্রতিনিয়ত তথ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটিও বুঝাতে চেয়েছিলেন তারা।
৫. ফেইসবুক
জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি এখন শুধু ফেইসবুক নামে পরিচিত। কিন্তু ২০০৪ সালে মার্ক জাকারবার্গ যখন হার্ভার্ড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল স্টুডেন্ট ডাইরেক্টরি’ হিসেবে সাইটটি লঞ্চ করেছিলেন তখন এর নাম ছিল ‘দ্য ফেইসবুক ডটকম’। পরবর্তীতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যখন সেবাটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন নাম থেকে ‘দ্য’ বাদ পরে যায়। ২০০৫ সালে দুই লাখ ডলারের বিনিময়ে ‘ফেইসবুক ডটকম’ ডোমেইন কিনে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
৬. এলজি
কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা গোল্ডস্টারের শুরু ১৯৫৮ সালে। কোরিয়ান যুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত গোল্ডস্টারের অধীনে লাক-হুই নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানও ছিল। পরবর্তীতে লাক-হুই ও গোল্ডস্টার দুটি প্রতিষ্ঠানই এক সঙ্গে কাজ শুরু করে এবং পুরো প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় ‘লাকি গোল্ডস্টার’। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটির নাম আরও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে এবং এলজি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। নেক্সটওয়েবের তথ্য মোতাবেক, এলজি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানিক নামের এই সংক্ষিপ্তরূপ লোগোটি গ্রহণ করে।
৭. অ্যামাজন
ম্যাশএবলের তথ্য মোতাবেক, রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজনের নাম প্রথমে ‘ক্যাডাব্রা’ রাখতে চেয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। কিন্তু যখন বেজোসের আইনজীবি নামটির ভুল উচ্চারণ শুনে একে ‘ক্যাডাভার’ বলেন, তখনই বেজোস দ্রুত নামটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে অ্যামাজন রাখেন।
ওই প্রতিবেদনটির আলোকে চলুন জেনে নেয়া যাক সে তালিকাটি-
১. ইয়াহু
বর্তমানে ইয়াহু ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ১৯৯৪ সালে যখন ইয়াহু যাত্রা শুরু করে তখন এর নাম ছিল ‘জেরি অ্যান্ড ডেভিড’স গাইড টু দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির দুই সহপাঠি জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলোর লক্ষ্য ছিল তাদের নির্মিত সাইটটির মাধ্যমে যেন ইন্টারনেটের অন্যান্য সাইট সার্চ করা সম্ভব হয়। ম্যাশএবলের তথ্য অনুসারে, ওয়েবসাইটটি প্রতিষ্ঠার বছরখানেক পর ওই নাম পরিবর্তন করে ‘ইয়াহু’ রাখা হয়। ইয়াহুর পূর্ণরূপ হচ্ছে ‘ইয়েট অ্যানাদার হায়ারারকিক্যালি অর্গানাইজড ওরাকল’।
২. অ্যাপল ম্যাকিনটশ
স্টিভ জবসের জীবনীর তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপলের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ম্যাকিনটশের নাম পরিবর্তন করে ‘দ্য বাইসাইকেল’ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ‘ম্যাক টিম’ বেঁকে বসায় জবস আর নাম পরিবর্তন করেননি। ‘ম্যাকিনটশ’ নামটি নির্বাচন করেছিলেন অ্যাপল কর্মকর্তা জেফ রাসকিন।
জবসের নিজের ভাষ্যমতে, তিনি নিজে আপেল খেতে খুব পছন্দ করতেন। আর ফোনবুকে গেইমিং কনসোল নির্মাতা আটারির আগে যেন অ্যাপল নামটি দেখা যায়, তাই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘অ্যাপল’ নির্ধারণ করেন তিনি। এখানে না বললেই নয়, জবস অ্যাপল শুরু করার আগে আটারিতে চাকরি করতেন।
৩. টুইটার
আরেকটু হলেই মাইক্রোব্লগিং সেবা টুইটারের নাম হয়ে যেত ‘জিটার’ বা ‘টুইচ’। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম তৈরিতে সহায়তাকারী নোয়া গ্লাস ‘টুইচ’-এর মতো ভিন্ন শব্দ খুঁজতে যেয়ে ‘টু্ইটার’ শব্দটি আবিষ্কার করেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসিরও নামটি পছন্দ হয়। টুইটার শব্দের দুটি আভিধানিক অর্থ খুঁজে পেয়েছিলেন তারা। এর একটি ‘পাখিদের কোলাহল’ আর অন্যটি ‘অবান্তর তথ্যের বিস্ফোরণ’!
বর্তমানের ওয়েব জায়ান্ট গুগলের প্রথম নাম ছিল ‘ব্যাকরাব’। এটি অবশ্য ১৯৯৬ সালের ঘটনা, সেসময় শুধু স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সার্ভারেই প্রতিষ্ঠানটির সার্চ সেবা সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৯৭ সালে গুগলের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেইজ প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করেন। একের পর একশটি শূণ্য থাকলে সেটিকে গাণিতিক ভাষায় গুগল (Googol) বলা হয়। গাণিতিক ভাষার এ শব্দের আদলে নিজেদের সার্চ ইঞ্জিনটির নাম পরিবর্তন করে গুগল (Google) রাখেন প্রতিষ্ঠাতাদ্বয়। অবশ্য নাম পরিবর্তনের আরেকটি উদ্দেশ্যও ছিল, তাদের নির্মিত সেবায় যে প্রতিনিয়ত তথ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটিও বুঝাতে চেয়েছিলেন তারা।
৫. ফেইসবুক
জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি এখন শুধু ফেইসবুক নামে পরিচিত। কিন্তু ২০০৪ সালে মার্ক জাকারবার্গ যখন হার্ভার্ড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভার্চুয়াল স্টুডেন্ট ডাইরেক্টরি’ হিসেবে সাইটটি লঞ্চ করেছিলেন তখন এর নাম ছিল ‘দ্য ফেইসবুক ডটকম’। পরবর্তীতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যখন সেবাটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন নাম থেকে ‘দ্য’ বাদ পরে যায়। ২০০৫ সালে দুই লাখ ডলারের বিনিময়ে ‘ফেইসবুক ডটকম’ ডোমেইন কিনে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
৬. এলজি
কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা গোল্ডস্টারের শুরু ১৯৫৮ সালে। কোরিয়ান যুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত গোল্ডস্টারের অধীনে লাক-হুই নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানও ছিল। পরবর্তীতে লাক-হুই ও গোল্ডস্টার দুটি প্রতিষ্ঠানই এক সঙ্গে কাজ শুরু করে এবং পুরো প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় ‘লাকি গোল্ডস্টার’। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটির নাম আরও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে এবং এলজি নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। নেক্সটওয়েবের তথ্য মোতাবেক, এলজি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানিক নামের এই সংক্ষিপ্তরূপ লোগোটি গ্রহণ করে।
ম্যাশএবলের তথ্য মোতাবেক, রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজনের নাম প্রথমে ‘ক্যাডাব্রা’ রাখতে চেয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। কিন্তু যখন বেজোসের আইনজীবি নামটির ভুল উচ্চারণ শুনে একে ‘ক্যাডাভার’ বলেন, তখনই বেজোস দ্রুত নামটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে অ্যামাজন রাখেন।